12

শরঈ রুকইয়ার কিছু শর্ত ও আদাব রয়েছে সেগুলোর প্রতি লক্ষ রাখা জরুরি তন্মধ্যে:

1. রুকইয়া পুরোপুরি কুরআন-সুন্নাহ নির্ভর হতে হবে রুকইয়াতে উচ্চারিত শব্দ কিংবা রুকইয়া করার পন্থা সব ধরনের শিরক, বিদআত ও হারাম থেকে মুক্ত হতে হবে

2. মুসলিমের আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু থাকবে আল্লাহ তাআলাকে ঘিরে তার মনে দৃঢ় বিশ্বাস রাখবে, আল্লাহর অনুমতি ছাড়া রুকইয়ার ভালো-মন্দ কিছু করার ক্ষমতা নেই

3. আধাআধি বিশ্বাস রেখে পরীক্ষামূলক রুকইয়া করবে না বরং রুকইয়ার প্রভাবের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রেখে রুকইয়া করবে যিনি করছেন এবং যার জন্য করা হচ্ছে উভয়েরই দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে যে আল্লাহ এর মাধ্যমে সুস্থ করে দিতে পারেন!

4. নিঃসন্দেহে কুরআনে বিদ্যমান প্রত্যেকটি আয়াতই ঔষধ যেমনটা আল্লাহ তাআলা বলেছেন (আর আমি কুরআনে শিফা এবং মুমিনদের জন্য রহমত অবতীর্ণ করি’) বাদবাকি যেসব আয়াতের মাধ্যমে রুকইয়া প্রমাণিত সেসব আয়াতের মাধ্যমেই করা উত্তম

5. সবচেয়ে উত্তম হলো নিজের রুকইয়া নিজে করা এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি বান্দার দুর্বলতা ও মুখাপেক্ষিতা ফুটে ওঠে ফলে এর প্রভাবও বেশি হয়ে থাকে কারণ রুকইয়া করার সময় অন্তরের অবস্থা ও নিষ্ঠার বিষয়টি ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ

12/12